ব্লগিং জগতে এটাই আমার প্রথম লেখা (যদি আমি শেষ পর্যন্ত লিখে শেষ করতে পারি……) তাই লেখার শিরোনাম দিলাম বীজ। কিন্তু যদি এটা অংকুরের আগেই মারা যায়, তবে আমার ব্লগিং জগতটাও আর এগোবে না বলেই আমার বিশ্বাস।
ছোটবেলা থেকেই অনেকে লেখালেখির কাজে সফলতার সাথে আত্ননিয়োগ করে। অনেকেই আবার এটা দেখে অতি উৎসাহী হয়ে তাদের মত হতে চায়। আমি অনেকটা ২য় দলে ছিলাম। কিন্তু, অচিরেই আমি আমার পারদর্শিতা উপলব্ধি করে লেখার জগত থেকে অবসর নিয়ে শুধু পড়ার জগতে মনোনিবেশ করি। কিন্তু, পড়ার জগতের পরিসর কিছু নির্দিষ্ট গন্ডির ভেতরেই আবদ্ধ থেকে গেল। বয়স বাড়ার সাথে সাথে সেই পরিসরটাও বাড়তে থাকল। স্কুল থেকে কলেজ, এই সময়ে পড়ার জগতটা ঠিকই ছিল। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে এটারও বিচ্ছেদ ঘটল। কারন, না পড়ালেখার চাপ নয়, খেলাধুলার চাপ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল শিক্ষায় পড়ার চাপ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, এই চাপটা সম্পুর্ণ ভাবে এড়িয়ে খেলাধুলাটাই প্রকট আকার ধারণ করল। দিনে মাঠ আর রাতে কম্পিউটার গেমস, সমান তালে চলতে থাকল। ফলশ্রুতিতে আমার অতীতের পড়ার জগতটারও অপমৃত্যু ঘটল। আর লেখার জগত, সেটাতো আগেই বলেছি।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে আবার হটাৎ পড়ার আগ্রহটা পেয়ে বসল। কিন্তু, এবার আর কাগুজে লেখা নয়, ডিজিটাল লেখা। ইন্টারনেটের কল্যাণে দেশের সব খবরা-খবরতো বটেই বিশ্বের সব খবর যখন একনিমেষেই জানতে পারি, সেসব খবরের পরের খবর অর্থাৎ সাধারন মানুষের এর ওপর কি প্রতিক্রিয়া তাও জানা যায়। এসব মন্তব্যের জবাব, পাল্টা জবাব পড়তে ভালই লাগে। কিন্তু, যখন দেখি তা আমার মতের সাথে মিলছে না বা সেখানে আমারও কিছু বলার ছিল, তখন আবার সেই মৃত লেখালেখির ভাবটা প্রয়োজন বোধকরি।
এই প্রয়োজনটা উপলব্ধি করেই আমার ব্লগিং জগতে প্রবেশ। জানি এই বিশাল জগতে আমি একজন ক্ষুদ্র মানুষ। আমার চিন্তা-ভাবনার সাথে অন্যেরটা নাও মিলতে পারে। তবুও লেখার সেই পুরোন ভাবটাতো আবার ফেরত এল। এই লেখাটা শুরু করেছিলাম প্রায় সাড়ে চার মাস আগে। শেষ করতে পারলাম এটা একান্তই সৃষ্টিকর্তার কৃপা। আশা করি লেখার এই বীজটা অঙ্কুরোদগম ঘটল। আল্লাহই ভাল জানেন অঙ্কুর শেষে বীজটা চারা হবে কি না।
আশা করি আপনাদের দোয়ায় বীজটা, চারা থেকে গাছও হতে পারে। সকলকে ধন্যবাদ।
ভালোই তো হচ্ছিলো। থামলো কেন ??
থামেনাই। আবার চলা শুরু করেছে।
খুব ভাল হয়েছে।লেখা চালিয়ে যেও।
ধন্যবাদ।
চালায় যাও… তোমার বাংলা লেখার হাত ভাল।
thanx.
যদি এইভাবে চালিয়ে যাও বন্ধু, অনেক দূর যাবে. তোমার বীজ একদিন শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে বিশাল বৃক্ষে পরিনত হবে – এই আসা রইলো. Best of Luck!
[…] বীজ […]